Subscribe Us

Thursday, November 13, 2025

ইলাস্ট্রেটর ফুল Edit মেনু টিউটোরিয়াল । Adobe Illustrator Edit Menu । Adobe Illustrator Tutorial

 

ইলাস্ট্রেটর ফুল Edit মেনু  টিউটোরিয়াল । Adobe Illustrator Edit Menu । Adobe Illustrator Tutorial

🎨 ইলাস্ট্রেটর ফুল Edit মেনু টিউটোরিয়াল | Adobe Illustrator Edit Menu | Adobe Illustrator Tutorial in Bangla 

Adobe Illustrator হলো একটি পেশাদার ভেক্টর গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার যা দিয়ে আমরা Logo Design, Banner, Icon, Illustration, এবং বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করি। আজকের এই টিউটোরিয়ালে আমরা আলোচনা করবো Illustrator-এর Edit Menu নিয়ে—যেটি File Menu-এর পরেই অবস্থান করে এবং Illustrator-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেনুগুলোর একটি।
Edit Menu মূলত আমাদের ডিজাইনের বিভিন্ন পরিবর্তন (Editing), কপি, পেস্ট, Undo, Redo, এবং Object Transform সম্পর্কিত কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।


🧩 Adobe Illustrator Edit Menu Overview (এডিট মেনু পরিচিতি):

Edit Menu হলো সেই জায়গা যেখানে আমরা ডিজাইন বা ডকুমেন্টে করা পরিবর্তনগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
যেমনঃ

  • Undo/Redo করা

  • Copy/Cut/Paste

  • Clear বা Delete

  • Preferences সেট করা

  • Object Transform করা

  • Color, Path এবং Spelling Check
    ইত্যাদি।

এটি Photoshop, InDesign, কিংবা CorelDRAW-এর মতো সফটওয়্যারের Edit Menu-এর সাথে কিছুটা মিল থাকলেও Illustrator-এর ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ অপশন রয়েছে, যেমন “Edit Colors”, “Edit Original”, “Transparency Flattener Presets” ইত্যাদি।


🧠 Illustrator Edit Menu-এর প্রতিটি অপশন বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

1️⃣ Undo (Ctrl + Z):

এটি সবচেয়ে সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অপশন।
Undo মানে হলো আপনি যদি কোনো ভুল করে ফেলেন, যেমন কোনো অবজেক্ট মুছে ফেলেছেন বা রঙ পরিবর্তন করেছেন, তাহলে Undo ক্লিক করলে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

2️⃣ Redo (Shift + Ctrl + Z):

Undo করার পর আপনি চাইলে Redo ব্যবহার করে আগের কাজটি আবার ফিরিয়ে আনতে পারেন।
যেমনঃ আপনি Undo করে ফেলেছেন, এখন সেটি ফেরাতে Redo ব্যবহার করবেন।

3️⃣ Cut (Ctrl + X):

Cut অপশন দিয়ে আপনি নির্বাচিত কোনো অবজেক্ট বা টেক্সট সরিয়ে (remove করে) ক্লিপবোর্ডে রাখতে পারেন। পরে অন্য জায়গায় পেস্ট করতে পারবেন।

4️⃣ Copy (Ctrl + C):

Copy করলে আপনি নির্বাচিত অবজেক্টটি কপি করবেন, তবে আসলটি আগের জায়গায় থাকবে।

5️⃣ Paste (Ctrl + V):

Clipboard-এ কপি বা কাট করা আইটেম এখানে পেস্ট করা যায়।
ইলাস্ট্রেটরে Paste-এর আরও কিছু উন্নত অপশন আছে, যেমন:

  • Paste in Front (Ctrl + F): বর্তমান অবজেক্টের সামনে পেস্ট হয়।

  • Paste in Back (Ctrl + B): বর্তমান অবজেক্টের পিছনে পেস্ট হয়।

  • Paste in Place (Shift + Ctrl + V): ঠিক আগের অবস্থানে পেস্ট করে।

  • Paste on All Artboards: একসাথে সব Artboard-এ পেস্ট হয়।

এই অপশনগুলো লেআউট ডিজাইন বা একাধিক আর্টবোর্ডে কাজ করার সময় অনেক কাজে লাগে।


6️⃣ Clear (Delete):

Clear অপশন দিয়ে আপনি নির্বাচিত কোনো অবজেক্ট সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে পারেন।
এটি Delete বাটনের সমান কাজ করে।


7️⃣ Find and Replace:

এই অপশনটি ব্যবহার করে আপনি টেক্সটের মধ্যে কোনো শব্দ খুঁজে পরিবর্তন করতে পারেন।
যেমন, “Design” শব্দটিকে “Art” দিয়ে Replace করা যাবে।

এটি বড় প্রজেক্টে টেক্সট পরিবর্তনের জন্য দারুণ উপকারী।


8️⃣ Check Spelling:

Illustrator টেক্সট ডিজাইনের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। তাই টেক্সটে বানান ভুল থাকলে এটি চেক করতে পারবেন “Check Spelling” অপশনের মাধ্যমে।


9️⃣ Edit Colors:

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার যা রঙের ব্যালান্স বা রঙ পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এর মধ্যে রয়েছে:

  • Recolor Artwork: পুরো ডিজাইনের কালার স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন।

  • Adjust Color Balance: রঙের হিউ, স্যাচুরেশন বা লাইটনেস ঠিক করা যায়।

  • Convert to Grayscale: ডিজাইনকে সাদা-কালো করে দেয়।

  • Blend Front to Back: একাধিক অবজেক্টের রঙ মিশিয়ে একটি সুন্দর টোন তৈরি করা যায়।


🔟 Edit Original:

যদি আপনি Illustrator-এ কোনো লিঙ্ক করা (Linked) ফাইল ব্যবহার করেন, যেমন Photoshop বা Image ফাইল, তাহলে “Edit Original” ব্যবহার করে মূল ফাইলটি সংশ্লিষ্ট অ্যাপে ওপেন করা যাবে।
এটি ডিজাইনে নন-ডেস্ট্রাকটিভ (non-destructive) ওয়ার্কফ্লো বজায় রাখে।


11️⃣ Transparency Flattener Presets:

এই অপশনটি প্রিন্টিং বা PDF আউটপুটের সময় ব্যবহৃত হয়।
Transparency থাকলে এটি flatten করে (অর্থাৎ রেন্ডার করে) আউটপুটে কোনো ত্রুটি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করে।


12️⃣ Adobe PDF Presets:

PDF ফাইল এক্সপোর্ট করার সময় প্রিসেট (High Quality, Smallest File Size ইত্যাদি) সেট করা যায় এখান থেকে।


13️⃣ Presets → Adobe PDF Presets:

এখানে আপনি নিজের মতো কাস্টম প্রিসেট তৈরি করে রাখতে পারেন, যা প্রিন্টিং বা ওয়েব ডিজাইনের জন্য সুবিধাজনক।


14️⃣ Color Settings:

রঙের কাজ Adobe অ্যাপগুলোর মধ্যে কনসিস্টেন্ট রাখার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
যেমন RGB বা CMYK প্রোফাইল সিঙ্ক করা যায়।


15️⃣ Keyboard Shortcuts:

এই অপশন দিয়ে আপনি নিজের মতো শর্টকাট কী সেট করতে পারেন।
যেমনঃ আপনি “Ctrl + Q” কে “Quit” বা “Ctrl + T” কে “Transform”-এর জন্য সেট করতে পারেন।


16️⃣ Preferences:

এটি Illustrator-এর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলা যায়।
এখান থেকে সফটওয়্যারের বিভিন্ন সেটিং পরিবর্তন করা যায়, যেমনঃ

  • General

  • User Interface

  • Performance

  • Units & Guides

  • Type

  • Clipboard Handling

  • Smart Guides

  • File Handling & Clipboard
    প্রত্যেকটি সেটিং Illustrator-এর কাজকে আরও কাস্টমাইজড ও স্মুথ করে তোলে।


⚙️ Edit Menu-এর ব্যবহারিক উদাহরণ:

ধরুন আপনি একটি লোগো ডিজাইন করছেন। এখন কাজের মাঝে আপনি কোনো অংশ ভুল করে মুছে ফেলেছেন।
👉 Undo দিয়ে আগের অবস্থায় ফিরবেন।
এখন আপনি লোগোর টেক্সট অংশটি কপি করে আরেকটা আর্টবোর্ডে পেস্ট করতে চান।
👉 Paste in Front বা Paste in Place ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে কপি পেস্ট করবেন।
এরপর রঙের সামঞ্জস্য ঠিক করতে চান।
👉 Edit Colors → Recolor Artwork দিয়ে পুরো ডিজাইনের কালার টোন পরিবর্তন করতে পারবেন।
সবশেষে পুরো ডিজাইনটি PDF আকারে এক্সপোর্ট করতে চাইলে “Edit → Adobe PDF Presets” ব্যবহার করে হাই-কোয়ালিটি প্রিন্ট সেটিং নির্ধারণ করবেন।


🎯 Edit Menu শেখার উপকারিতা:

  1. দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা যায়।

  2. ভুল হলে সহজে Undo/Redo করা যায়।

  3. রঙ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন সহজ হয়।

  4. কপি-পেস্ট ব্যবস্থাপনা উন্নত।

  5. প্রিন্ট রেডি ও কালার ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়।

  6. নিজের শর্টকাট তৈরি করে Productivity বাড়ানো যায়।


💡 প্রো টিপস:

  • সবসময় কাজের মধ্যে Ctrl + S চাপুন, যেন Edit Menu-র Undo সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ডেটা সেভ থাকে।

  • Recolor Artwork ব্যবহার করার আগে ডিজাইনের কপি রেখে দিন।

  • Keyboard Shortcuts কাস্টমাইজ করলে সময় অনেক বাঁচে।


🖋️ উপসংহার:

Illustrator-এর Edit Menu শুধুমাত্র সাধারণ কপি-পেস্ট নয়, বরং এটি ডিজাইনের গুণমান, গতি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনারের জন্য এই মেনুটি পুরোপুরি আয়ত্ত করা অপরিহার্য।

এই টিউটোরিয়ালটি শেষ পর্যন্ত দেখলে বা পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন — Adobe Illustrator-এর Edit Menu-এর প্রতিটি ফিচার কীভাবে আপনার ডিজাইনিং প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও পেশাদার করে তুলবে।



Illustrator Full File Menu Bangla Tutorial। Illustrator File Menu A to Z । ইলাস্ট্রেটর ফুল ফাইল মেনু

Illustrator Full File Menu Bangla Tutorial। Illustrator File Menu A to Z । ইলাস্ট্রেটর ফুল ফাইল মেনু

🎨 Adobe Illustrator File Menu in Bangla | ইলাস্ট্রেটর ফাইল মেনু বিস্তারিত টিউটোরিয়াল

Adobe Illustrator হলো একটি জনপ্রিয় ভেক্টর গ্রাফিক্স সফটওয়্যার, যা ডিজাইন, লোগো, আইকন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট এবং ওয়েব গ্রাফিক্স তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। Illustrator-এর File Menu হল কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখান থেকে আপনি নতুন ফাইল তৈরি করতে পারেন, পুরোনো ফাইল খুলতে পারেন, সংরক্ষণ (Save) করতে পারেন, Export করতে পারেন, Print করতে পারেন ইত্যাদি।

এখন আমরা Illustrator-এর File Menu-এর প্রতিটি অপশন A থেকে Z পর্যন্ত বাংলায় বিস্তারিতভাবে শিখব।


🧩 1. New (Ctrl + N)

এই অপশনটি নতুন একটি ফাইল বা ডকুমেন্ট তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যখন আপনি File → New সিলেক্ট করবেন, তখন একটি ডায়ালগ বক্স আসবে যেখানে আপনি বিভিন্ন সেটিং দিতে পারেন:

  • Document Name: ফাইলের নাম নির্ধারণ করুন।

  • Preset Details: Print, Web, Mobile, Film & Video, Art & Illustration ইত্যাদি ক্যাটাগরি থেকে পছন্দ করুন।

  • Units: Pixels, Inches, Millimeters ইত্যাদি পরিমাপের একক বেছে নিতে পারেন।

  • Orientation: Portrait বা Landscape।

  • Artboards: কতগুলো আর্টবোর্ড লাগবে তা নির্ধারণ করুন।

  • Color Mode: CMYK (প্রিন্টের জন্য) বা RGB (স্ক্রিনের জন্য)।

🎯 ব্যবহারিক উদাহরণ:
যদি আপনি একটি ওয়েব ব্যানার ডিজাইন করতে চান, তাহলে Web preset → 1920x1080 pixels → RGB color mode বেছে নিতে পারেন।


🗂️ 2. New from Template

এই অপশনটি ব্যবহার করে আপনি Illustrator-এর বিল্ট-ইন টেমপ্লেট (Template) থেকে নতুন ডিজাইন শুরু করতে পারেন।
যেমন: Brochure, Poster, Business Card, Logo Template ইত্যাদি।


📂 3. Open (Ctrl + O)

এই অপশন দিয়ে পূর্বে তৈরি করা Illustrator (.ai), PDF, SVG বা EPS ফাইল খুলতে পারেন।
👉 আপনি আপনার পুরোনো কাজ চালিয়ে যেতে বা এডিট করতে পারবেন।


🔁 4. Open Recent Files

এখানে সাম্প্রতিক সময়ে খোলা ফাইলগুলোর একটি লিস্ট দেখা যাবে।
আপনি সেখান থেকে দ্রুত যেকোনো পুরোনো প্রজেক্ট পুনরায় খুলতে পারেন।


🖼️ 5. Close / Close All

  • Close: বর্তমান ফাইলটি বন্ধ করে দেয়।

  • Close All: একসাথে সব খোলা ফাইল বন্ধ করে দেয়।
    যদি কোনো ফাইলে পরিবর্তন করা থাকে, Illustrator আপনাকে সেভ করার সুযোগ দেবে।


💾 6. Save (Ctrl + S)

ফাইল সংরক্ষণ করার জন্য এই অপশন ব্যবহৃত হয়।
প্রথমবার Save দিলে Illustrator আপনাকে একটি লোকেশন ও ফাইলনেম দিতে বলবে।
পরবর্তী Save ক্লিক করলে সেটি আগের ফাইলটি আপডেট করবে।


💾 7. Save As (Shift + Ctrl + S)

এই অপশন দিয়ে আপনি একই ফাইলকে অন্য নামে বা অন্য ফরম্যাটে সংরক্ষণ করতে পারেন।
যেমন: “Logo.ai” কে “Logo-v2.ai” নামে সংরক্ষণ করা।


💾 8. Save a Copy

এই অপশন মূল ফাইল না বদলে ফাইলের একটি কপি সংরক্ষণ করে রাখে।
এটি মূলত ব্যাকআপ হিসেবে খুব উপকারী।


📄 9. Save As Template

যদি আপনি একটি ডিজাইন সেটআপ (size, grid, color, layout) বারবার ব্যবহার করতে চান, তাহলে Template হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারেন। পরবর্তীতে “New from Template” দিয়ে এটি খুলতে পারবেন।


📦 10. Save for Web (Legacy)

এই অপশন ওয়েব বা অনলাইন ব্যবহারের জন্য ছবি বা ডিজাইন সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
এখানে আপনি PNG, JPEG, GIF ইত্যাদি ফরম্যাটে ফাইল Export করতে পারেন।

🎯 ব্যবহারিক উদাহরণ:
ওয়েব ব্যানার বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সেভ করার সময় “Save for Web (JPEG, High Quality)” ব্যবহার করুন।


🌐 11. Export / Export As

এই অপশনটি Illustrator ফাইলকে অন্য ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করার সুযোগ দেয়।

Export As:

  • PNG

  • JPEG

  • SVG

  • PDF

  • DWG (AutoCAD ফাইল)

  • PSD (Photoshop ফাইল)

Export for Screens:
এই অপশনটি ওয়েব/মোবাইল ডিজাইন এক্সপোর্ট করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। আপনি একসাথে একাধিক আকারে (1x, 2x, 3x) এক্সপোর্ট করতে পারেন।


🧷 12. Package

এই অপশনটি ব্যবহার করলে Illustrator আপনার ডিজাইন ফাইল, ফন্ট, লিঙ্কড ইমেজ সব একসাথে একটি ফোল্ডারে সংগ্রহ করে দেয়।
এটি প্রিন্টার বা অন্য ডিজাইনারের কাছে পাঠানোর সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ।


🧾 13. Document Setup

এখান থেকে আপনি ডকুমেন্টের মূল সেটিং যেমন: Units, Bleed, Transparency Grid, Artboard Option ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারেন।


📏 14. File Info

এখানে ফাইল সম্পর্কিত মেটাডাটা থাকে যেমন:

  • লেখক (Author)

  • Copyright তথ্য

  • Description

  • Keywords
    এই তথ্যগুলো ফাইলের পেশাদার ব্যবহার ও কপিরাইট সুরক্ষায় সহায়তা করে।


🖨️ 15. Print (Ctrl + P)

প্রিন্ট করার জন্য এই অপশন ব্যবহার করা হয়। এখানে আপনি প্রিন্টার, পেজ সাইজ, কালার মোড, প্রিন্ট এরিয়া ইত্যাদি সেট করতে পারেন।

🎯 উদাহরণ:
ব্যবসায়িক কার্ড বা ব্রোশিউর প্রিন্ট করার সময় Bleed ও Crop Marks অন রাখুন।


🧹 16. Exit / Quit (Ctrl + Q)

এই অপশন Illustrator সফটওয়্যার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়।
যদি কোনো ফাইলে পরিবর্তন করা থাকে, তা সেভ করার জন্য সতর্ক করবে।


🧭 Illustrator File Menu-র বাস্তব প্রয়োগ

  1. Logo Design: New → RGB Mode → Save As .AI + Export .PNG

  2. Print Design: New → CMYK Mode → Package → Print

  3. Web Graphic: Export for Screens (JPG/PNG)

  4. Client Delivery: Save a Copy → Package → Zip Folder


💡 Illustrator File Menu ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • Save frequently: প্রতি ৫-১০ মিনিট পর Ctrl + S ব্যবহার করুন।

  • Use “Save As” for version control: v1, v2, Final Version এইভাবে কাজের ধাপ আলাদা রাখুন।

  • Always use “Package” before sending to print.

  • Export for Screens ব্যবহার করলে রেজুলিউশন ও ফাইল সাইজের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবেন।

  • File Info ব্যবহার করলে আপনার কাজের কপিরাইট সুরক্ষিত থাকবে।


🧠 সারাংশ

Illustrator-এর File Menu মূলত ডিজাইন তৈরি, সংরক্ষণ, রপ্তানি (Export), প্রিন্ট এবং শেয়ার করার জন্য অপরিহার্য একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। একজন পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনারের জন্য File Menu-এর প্রতিটি অপশন ভালোভাবে জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

যেমন—

  • New → কাজ শুরু করতে,

  • Save → কাজ সেভ করতে,

  • Export → ক্লায়েন্টের জন্য পাঠাতে,

  • Print → প্রিন্টের আগে প্রিভিউ নিতে,

  • Package → সব রিসোর্স একত্রে পাঠাতে।


🏁 উপসংহার

Adobe Illustrator-এর File Menu হলো পুরো সফটওয়্যারের ভিত্তি। আপনি যতই অভিজ্ঞ হোন না কেন, সঠিকভাবে ফাইল ম্যানেজমেন্ট জানা না থাকলে কাজের গতি, মান ও সুরক্ষা—সবকিছুতেই প্রভাব পড়বে। তাই প্রতিটি অপশন বুঝে ব্যবহার করুন, নিয়মিত Save ও Backup রাখুন, এবং Export করার সময় ফাইলের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফরম্যাট নির্বাচন করুন।

এইভাবেই আপনি একজন Professional Illustrator User হিসেবে আপনার ডিজাইনিং ক্যারিয়ারকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারবেন।




Photoshop Window Menu in Bangla


Photoshop Window Menu in Bangla

🎨 Adobe Photoshop Window Menu in Bangla Description (ফটোশপ উইন্ডো মেনুর বিস্তারিত ব্যাখ্যা)

✳️ ভূমিকা

Adobe Photoshop-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মেনু হলো Window Menu (উইন্ডো মেনু)। এই মেনুর মাধ্যমে আমরা ফটোশপের সব প্যানেল (Panel), টুলস (Tools), এবং ওয়ার্কস্পেস (Workspace) কন্ট্রোল করতে পারি। অর্থাৎ, ফটোশপের ইন্টারফেসে যে সমস্ত উইন্ডো যেমন Layers, History, Adjustments, Color, Swatches, Properties, Brushes ইত্যাদি দেখা যায় — সেগুলোকে অন/অফ করা, সাজানো বা ব্যবস্থাপনা করার কাজ এই Window Menu থেকে করা হয়।

যে কেউ Photoshop নিয়ে কাজ করলে তার জন্য Window Menu জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিজাইন করার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী প্যানেলগুলো দেখা, লুকানো, অথবা কাস্টম লেআউট তৈরি করা—সবকিছু এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়।


🪟 Window Menu-এর মূল কাজ

Window Menu মূলত Photoshop-এর বিভিন্ন প্যানেল বা উইন্ডো অন বা অফ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন:

  • যদি Layers Panel দেখা না যায়, তবে Window → Layers থেকে আবার সেটি চালু করা যায়।

  • একইভাবে যদি Color Panel, Properties Panel, বা History Panel প্রয়োজন হয়, তাহলে Window মেনু থেকে এক ক্লিকেই তা খুলে নেওয়া যায়।

এখন আমরা একে একে Window Menu-র প্রতিটি অপশন ব্যাখ্যা করবো।


🔹 ১. Arrange

Arrange অপশনটি ব্যবহার করা হয় যখন আপনি একাধিক ছবি বা ফাইল একসাথে খুলে কাজ করছেন।
এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি একাধিক ডকুমেন্টকে স্ক্রিনে বিভিন্নভাবে সাজাতে পারেন, যেমন:

  • Consolidate All to Tabs: সব ওপেন ডকুমেন্টকে একটি ট্যাব ভিউতে নিয়ে আসে।

  • Tile All Vertically / Horizontally: সব ডকুমেন্টকে একসাথে পাশাপাশি দেখায় (উল্লম্ব বা আনুভূমিকভাবে)।

  • Float All in Windows: প্রতিটি ডকুমেন্টকে আলাদা উইন্ডো আকারে খুলে দেয়।

  • 2-up Vertical / 3-up Stacked: দুটি বা তিনটি ডকুমেন্ট একসাথে দেখার সুবিধা দেয়।

👉 ব্যবহার উদাহরণ:
যদি আপনি দুটি ফাইল তুলনা করতে চান (Before & After), তবে “2-up Vertical” ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি দুই ছবিকে পাশাপাশি দেখতে পারবেন।


🔹 ২. Workspace

Workspace হলো Photoshop-এর একটি কাস্টম লেআউট সিস্টেম।
প্রত্যেক ডিজাইনারের কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন প্যানেল দরকার হয়। Workspace দিয়ে আপনি আপনার পছন্দমতো প্যানেলগুলো সাজিয়ে রাখতে পারেন।

প্রাথমিক Workspace গুলো:

  • Essentials (Default) – সব সাধারণ প্যানেলসহ।

  • Photography – ছবি এডিটিংয়ের জন্য উপযুক্ত।

  • Graphic and Web – ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য।

  • Motion – ভিডিও বা অ্যানিমেশন কাজের জন্য।

  • Painting – ডিজিটাল পেইন্টিং ও আর্টের জন্য।

  • 3D – 3D ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

অন্য অপশনগুলো:

  • New Workspace: নিজের মতো করে একটি নতুন ওয়ার্কস্পেস তৈরি করতে পারেন।

  • Reset Workspace: ভুলে সাজিয়ে ফেললে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।

  • Delete Workspace: কোনো Workspace আর দরকার না হলে মুছে ফেলা যায়।


🔹 ৩. Actions

Actions Panel হলো Photoshop-এর Automation সিস্টেম।
এর মাধ্যমে একগুচ্ছ কাজ (Steps) রেকর্ড করে রাখা যায়, যাতে ভবিষ্যতে এক ক্লিকে একই কাজ পুনরায় করা যায়।

উদাহরণ:

আপনি যদি ১০০টি ছবির সাইজ একসাথে ছোট করতে চান, তাহলে একবার Actions রেকর্ড করে Batch Process ব্যবহার করলে সব ছবিতে একই পরিবর্তন হবে।


🔹 ৪. Adjustments

Adjustments Panel ব্যবহার করা হয় ছবির রঙ, আলো, কনট্রাস্ট, লেভেল, কার্ভস ইত্যাদি পরিবর্তন করার জন্য।
এর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু টুল:

  • Brightness/Contrast

  • Levels

  • Curves

  • Exposure

  • Hue/Saturation

  • Color Balance

  • Black & White

  • Photo Filter

  • Channel Mixer

👉 এই প্যানেল মূলত Image → Adjustments মেনুর সমান কাজ করে, কিন্তু আরও সহজভাবে ও দ্রুত ব্যবহারের সুযোগ দেয়।


🔹 ৫. Brush Settings / Brushes

Brush Settings Panel দিয়ে আপনি ব্রাশের সাইজ, হার্ডনেস, স্পেসিং, টেক্সচার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
Brushes Panel-এ বিভিন্ন প্রিসেট ব্রাশ দেখা যায় যা আপনি প্রয়োজনে ব্যবহার বা কাস্টমাইজ করতে পারেন।


🔹 ৬. Character / Paragraph

এই দুটি প্যানেল Text Tool (T) এর জন্য ব্যবহৃত হয়।

Character Panel:

এখানে ফন্ট, সাইজ, কালার, লাইন স্পেসিং, ট্র্যাকিং, বোল্ড-ইটালিক ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Paragraph Panel:

এখানে টেক্সটের অ্যালাইনমেন্ট (Left, Center, Right), স্পেসিং, এবং ইনডেন্ট ইত্যাদি সেট করা যায়।

👉 ডিজাইন বা পোস্টার বানানোর সময় এই দুটি প্যানেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


🔹 ৭. Channels

Channels Panel ছবির কালার ইনফরমেশন ধরে রাখে।
একটি RGB ছবিতে তিনটি চ্যানেল থাকে – Red, Green, Blue।
আপনি চাইলে আলাদা করে চ্যানেল দেখতে বা সম্পাদনা করতে পারেন।
মাস্কিং বা সিলেকশন নিয়ে কাজ করার সময় Channels Panel খুবই দরকারী।


🔹 ৮. Color / Swatches

Color Panel:

এখানে আপনি রঙের মান (RGB, CMYK, HSB) ঠিক করতে পারেন।

Swatches Panel:

এখানে বিভিন্ন কালার প্যালেট বা সংরক্ষিত রঙ থাকে। ভবিষ্যতের ডিজাইনের জন্য আপনি নিজের পছন্দের কালার সেভ করতে পারেন।


🔹 ৯. Histogram

Histogram Panel ছবির আলোক এবং কনট্রাস্টের পরিসংখ্যান দেখায়।
এটি মূলত ফটোগ্রাফারদের জন্য প্রয়োজনীয় যারা এক্সপোজার ও টোন নিয়ন্ত্রণ করতে চান।


🔹 ১০. History

History Panel হলো একটি টাইমলাইন বা Undo তালিকা।
আপনি কতগুলো ধাপে কী পরিবর্তন করেছেন, তা এখানে দেখা যায়।
যেকোনো পুরনো অবস্থায় ফিরে যেতে চাইলে History Panel থেকে সেই ধাপে ক্লিক করলেই হবে।


🔹 ১১. Info

Info Panel কার্সরের নিচের পিক্সেল তথ্য দেখায়, যেমন RGB মান, অবস্থান (X/Y), সাইজ ইত্যাদি।
ছবি রঙের দিক থেকে নির্ভুল রাখতে Info Panel খুব উপকারী।


🔹 ১২. Layers

Layers Panel হলো Photoshop-এর হৃদয় বলা যায়।
প্রতিটি ডিজাইন উপাদান আলাদা লেয়ারে থাকে — যেমন টেক্সট, ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি।
এখানে আপনি লেয়ার তৈরি, ডিলিট, মার্জ, লক, গ্রুপ, এবং ব্লেন্ড মোড পরিবর্তন করতে পারেন।

👉 Shortcut: F7 চাপলে Layers Panel অন/অফ করা যায়।


🔹 ১৩. Navigator

Navigator Panel দিয়ে আপনি ছবির জুম ও ভিউ কন্ট্রোল করতে পারেন।
বড় ছবিতে কাজ করার সময় সহজে নির্দিষ্ট অংশে যাওয়ার জন্য এটি ব্যবহার হয়।


🔹 ১৪. Paths

Paths Panel Pen Tool দিয়ে তৈরি করা পথ (Path) সংরক্ষণ করে রাখে।
এটি থেকে সিলেকশন বা ভেক্টর শেপ তৈরি করা যায়।


🔹 ১৫. Properties

Properties Panel-এ বর্তমান লেয়ার বা অবজেক্টের বিস্তারিত সেটিংস থাকে।
যেমন:

  • Text Layer হলে ফন্ট ও সাইজ দেখা যায়।

  • Shape Layer হলে রঙ, স্ট্রোক ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

  • Adjustment Layer হলে স্লাইডার ও টোন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


🔹 ১৬. Styles

Styles Panel-এ বিভিন্ন প্রিসেট লেয়ার স্টাইল যেমন Drop Shadow, Bevel, Glow ইত্যাদি থাকে।
আপনি নিজের তৈরি স্টাইলও এখানে সেভ করতে পারেন।


🔹 ১৭. Timeline

Timeline Panel ভিডিও বা অ্যানিমেশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
এখানে ফ্রেম-বাই-ফ্রেম অ্যানিমেশন বা ভিডিও ক্লিপ এডিট করা যায়।


🔹 ১৮. Tool Presets

Tool Presets Panel-এ আপনি নির্দিষ্ট টুলের জন্য প্রিসেট তৈরি করতে পারেন।
যেমন Brush Tool-এর নির্দিষ্ট সাইজ ও ফ্লো সেটিং সেভ করে রাখতে পারেন ভবিষ্যতের ব্যবহারের জন্য।


🔹 ১৯. Clone Source

Clone Source Panel Clone Stamp Tool ব্যবহারের সময় ব্যবহৃত হয়।
এখানে ক্লোনের সোর্স পজিশন, রোটেশন, এবং স্কেল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


🔹 ২০. Glyphs

Glyphs Panel বিশেষ ক্যারেক্টার বা প্রতীক (symbols, arrows, icons) ইনসার্ট করতে ব্যবহৃত হয়।
ফন্ট ডিজাইন বা পোস্টার তৈরির সময় এটি বেশ উপযোগী।


🔹 ২১. Libraries

Libraries Panel-এ আপনি Adobe Creative Cloud-এর মাধ্যমে কালার, গ্রাফিক, টেক্সট স্টাইল, বা লোগো ইত্যাদি সেভ করে রাখতে পারেন এবং যেকোনো প্রজেক্টে তা পুনর্ব্যবহার করতে পারেন।


🔹 ২২. Paragraph Styles / Character Styles

Paragraph Styles Panel টেক্সট ব্লকের জন্য নির্দিষ্ট স্টাইল সেট করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি পরিবর্তন করলে একই স্টাইলের সব টেক্সটে পরিবর্তন আসে।


🔹 ২৩. Patterns / Gradients / Shapes

Patterns Panel-এ বিভিন্ন ডিজাইন প্যাটার্ন সংরক্ষণ করা থাকে।
Gradients Panel-এ রঙের মিশ্রণ (গ্রেডিয়েন্ট) সেভ করা যায়।
Shapes Panel-এ কাস্টম শেপ সংরক্ষণ করা যায়।


🔹 ২৪. Plugins

নতুন Photoshop সংস্করণে Window → Plugins থেকে ইনস্টল করা থার্ড-পার্টি প্লাগইনগুলো ম্যানেজ করা যায়।


🔹 ২৫. Extensions (Legacy)

পুরোনো ভার্সনে বিভিন্ন অ্যাড-অন বা এক্সটেনশন এখান থেকে চালু করা যেত। নতুন ভার্সনে এটি Plugins দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।


🔹 ২৬. Info Panels Shortcuts

  • F5: Brushes

  • F6: Color

  • F7: Layers

  • F8: Info

  • F9: Actions

👉 এই শর্টকাটগুলো Window Menu থেকেই জানা যায় এবং দ্রুত কাজের গতি বাড়ায়।


🔹 ২৭. Application Frame / Application Bar / Options Bar

কিছু ভার্সনে এই অপশনগুলোও Window Menu-তে থাকে।

  • Options Bar: টুল অনুযায়ী কনফিগারেশন দেখা যায় (যেমন Brush Size, Opacity)।

  • Application Bar: উপরের শর্টকাট লাইন।

  • Application Frame: সম্পূর্ণ Photoshop উইন্ডোকে এক ফ্রেমে ধারণ করে।


📘 সারসংক্ষেপ

Window Menu হচ্ছে Photoshop-এর "Control Center" — এখান থেকে আপনি নির্ধারণ করেন কোন প্যানেলগুলো আপনার স্ক্রিনে দৃশ্যমান থাকবে।
প্রতিটি ডিজাইন প্রজেক্টে ভিন্ন ভিন্ন প্যানেল দরকার হয়, তাই Window Menu-র প্রতিটি অপশন ভালোভাবে জানা থাকলে কাজের গতি ও মান দুই-ই অনেক বৃদ্ধি পায়।


🎯 উপসংহার

Photoshop Window Menu-এর সাহায্যে আপনি নিজের কাজের পরিবেশ সম্পূর্ণ কাস্টমাইজ করতে পারেন।
আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার, বা ডিজিটাল আর্টিস্ট হন — Window Menu-কে আয়ত্তে আনলে Photoshop ব্যবহারে আরও পেশাদার হয়ে উঠবেন।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি যখন জানেন কোন প্যানেল কোথায় আছে এবং কীভাবে চালু করতে হয়, তখন আপনার সময় নষ্ট হয় না এবং আপনার ডিজাইনিং ফ্লো আরও মসৃণ হয়।




Photoshop View Menu in Bangla

 

Photoshop View Menu in Bangla

🎨 Adobe Photoshop View Menu in Bangla Description (ফটোশপ ভিউ মেনু বাংলা ব্যাখ্যা)

🔹 ভূমিকা

Adobe Photoshop একটি জনপ্রিয় গ্রাফিক্স এডিটিং সফটওয়্যার, যেখানে আমরা ছবি সম্পাদনা, ডিজাইন ও রিটাচিং কাজ করি। ফটোশপের প্রতিটি মেনুর আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। তার মধ্যে View Menu (ভিউ মেনু) হচ্ছে এমন একটি মেনু যা ব্যবহারকারীকে তার কাজের ভিজ্যুয়াল কন্ট্রোল বা দেখার নিয়ন্ত্রণ দেয়। অর্থাৎ, আপনি ক্যানভাস বা ওয়ার্কস্পেস কীভাবে দেখতে চান — জুম, গাইড, রুলার, গ্রিড, স্ন্যাপ, স্ক্রিন মোড — সবকিছু এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এখন আমরা একে একে View মেনুর প্রতিটি কমান্ড বিশদভাবে বাংলায় আলোচনা করবো।


🧭 Photoshop View Menu এর বিস্তারিত বর্ণনা

1️⃣ Proof Setup

এই অপশনটির মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট প্রিন্ট আউটপুটের কালার প্রোফাইল অনুযায়ী স্ক্রিনে কেমন রঙ দেখাবে তা প্রিভিউ করতে পারি।
ধরুন, আপনি একটি ডিজাইন প্রিন্ট করতে যাচ্ছেন — স্ক্রিনে যেভাবে রঙ দেখছেন, প্রিন্টে তা একটু ভিন্ন হতে পারে। Proof Setup ব্যবহার করলে আপনি বিভিন্ন কালার প্রোফাইল (যেমন CMYK, RGB, Working CMYK, Monitor RGB ইত্যাদি) অনুযায়ী ছবির কালার পরিবর্তন দেখে নিতে পারেন।
এটি মূলত কালার ম্যানেজমেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


2️⃣ Proof Colors

এই অপশনটি অন করলে (Shortcut: Ctrl + Y) আপনি Proof Setup-এ নির্ধারিত কালার প্রোফাইল অনুযায়ী ছবিটি দেখতে পাবেন। এটি একধরনের প্রিভিউ মোড, যেখানে স্ক্রিনে ছবিটি প্রিন্টের মতো দেখায়। এটি প্রিন্ট ডিজাইনারদের জন্য বিশেষভাবে দরকারি।


3️⃣ Gamut Warning

(Shortcut: Shift + Ctrl + Y)
এটি সেই অংশগুলোকে হাইলাইট করে যেগুলো প্রিন্ট করার সময় নির্দিষ্ট কালার প্রোফাইলে রঙ হারিয়ে ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি RGB রঙে কাজ করেন কিন্তু পরে CMYK প্রিন্ট করতে চান, তাহলে কিছু রঙ CMYK রেঞ্জে থাকবে না। Gamut Warning এগুলোকে ধূসর বা গ্রে রঙে দেখায় যাতে আপনি আগেভাগেই ঠিক করতে পারেন।


4️⃣ Pixel Aspect Ratio

এই কমান্ড ব্যবহার করে আপনি নির্ধারণ করতে পারেন প্রতিটি পিক্সেলের আকার কেমন হবে। যেমন — Square Pixels, D1/DV NTSC, D1/DV PAL ইত্যাদি। এটি মূলত ভিডিও প্রোডাকশনের সময় ব্যবহৃত হয় যেখানে নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুযায়ী পিক্সেলের অনুপাত লাগে।


5️⃣ Pixel Aspect Ratio Correction

যখন এই অপশনটি অন করা হয়, তখন Photoshop আপনার ছবিকে পিক্সেল অ্যাসপেক্ট রেশিও অনুসারে সামঞ্জস্য করে দেখায়, যাতে বিকৃত মনে না হয়। এটি ভিডিও ফরম্যাটের কাজ করার সময় বেশ উপকারী।


6️⃣ Zoom In / Zoom Out

  • Zoom In (Ctrl + +): ছবিকে বড় করে দেখায়।

  • Zoom Out (Ctrl + -): ছবিকে ছোট করে দেখায়।

এটি খুবই সাধারণ কিন্তু সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কমান্ড। জুম ব্যবহার করে আপনি সূক্ষ্ম অংশে কাজ করতে পারবেন এবং দূর থেকে ডিজাইনটি সামগ্রিকভাবে দেখতে পারবেন।


7️⃣ Fit on Screen

(Shortcut: Ctrl + 0)
এই কমান্ডটি ছবিকে এমনভাবে জুম করে যাতে পুরো ছবিটি আপনার মনিটরের মধ্যে সুন্দরভাবে ফিট হয়ে যায়। বড় ছবিতে কাজ করার সময় এটি খুবই উপকারী।


8️⃣ Actual Pixels (100%)

(Shortcut: Ctrl + 1)
এই কমান্ডটি ছবিটিকে 100% স্কেলে দেখায়, অর্থাৎ ছবির আসল পিক্সেল আকার অনুযায়ী। এটি ব্যবহার করলে আপনি বুঝতে পারবেন ছবির রেজোলিউশন কেমন এবং প্রিন্টে কেমন দেখাবে।


9️⃣ Print Size

এই কমান্ডটি ছবির আসল প্রিন্ট সাইজ অনুযায়ী স্ক্রিনে প্রিভিউ দেখায়। এটি ডিজাইনারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যারা প্রিন্ট মিডিয়ার কাজ করেন (যেমন ম্যাগাজিন, পোস্টার, ফ্লায়ার ইত্যাদি)।


1️⃣0️⃣ Screen Mode

এই অপশনটির মাধ্যমে আপনি ফটোশপের ইন্টারফেস কিভাবে দেখবেন তা নির্ধারণ করতে পারেন। এটি তিন ধরনের:

  1. Standard Screen Mode – সাধারণ কাজের জন্য।

  2. Full Screen Mode with Menu Bar – বড় ক্যানভাসে কাজ করার জন্য, তবে উপরের মেনু দেখা যায়।

  3. Full Screen Mode – পুরো স্ক্রিন জুড়ে ক্যানভাস থাকে, কোনো মেনু বা প্যানেল দেখা যায় না।
    (Shortcut: F)


1️⃣1️⃣ Extras

(Shortcut: Ctrl + H)
এই অপশনটি গাইড, গ্রিড, সিলেকশন, পাথ ইত্যাদি সহায়ক ভিজ্যুয়াল উপাদানগুলো একসাথে Hide বা Show করার জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনি কাজের সময় মনোযোগ দিতে চাইলে Extras বন্ধ রাখতে পারেন।


1️⃣2️⃣ Show Menu

এই অংশে আপনি কোন কোন ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট দেখতে চান তা নির্ধারণ করতে পারেন:

  • Guides: পজিশন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

  • Grid: ডিজাইনের পরিমিতি বুঝতে সাহায্য করে।

  • Rulers: পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  • Smart Guides: স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবজেক্টকে সঠিকভাবে এলাইন করতে সাহায্য করে।

  • Slices / Slice Lines: ওয়েব ডিজাইনের সময় ব্যবহার হয়।

  • Target Path / Selection Edges: সিলেকশন বা পাথ হাইলাইট করতে সাহায্য করে।


1️⃣3️⃣ Rulers

(Shortcut: Ctrl + R)
এই অপশনটি অন করলে ক্যানভাসের চারপাশে মাপার রুলার দেখা যায়। আপনি রুলার থেকে গাইডলাইন টেনে এনে কাজের এলাইনমেন্ট ঠিক করতে পারেন।


1️⃣4️⃣ Snap

যখন এই অপশনটি অন করা হয়, তখন অবজেক্ট, গাইড, বা লেয়ারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিকটবর্তী গ্রিড বা গাইডের সাথে আটকে যায় (Snap করে)। এতে জিনিসগুলো সোজাভাবে স্থাপন করা সহজ হয়।


1️⃣5️⃣ Snap To

এখান থেকে আপনি নির্ধারণ করতে পারেন কোথায় স্ন্যাপ করবে:

  • Guides

  • Grid

  • Layers

  • Slices

  • Document Bounds

অর্থাৎ আপনি চাইলে কেবল গ্রিড বা গাইডের সাথে স্ন্যাপ করতে পারবেন।


1️⃣6️⃣ Lock Guides

এই কমান্ডটি অন করলে গাইডলাইনগুলো লক হয়ে যায়, ফলে সেগুলো ভুলবশত সরানো যাবে না। এটি লে-আউট ডিজাইন করার সময় বেশ কাজে লাগে।


1️⃣7️⃣ Clear Guides

এটি ব্যবহার করে আপনি ক্যানভাসে থাকা সব গাইড একসাথে মুছে ফেলতে পারবেন।


1️⃣8️⃣ New Guide / New Guide Layout

  • New Guide: ম্যানুয়ালি একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে গাইড যোগ করতে পারবেন (উল্লম্ব বা অনুভূমিক)।

  • New Guide Layout: নির্দিষ্ট কলাম বা সারি অনুযায়ী একাধিক গাইড স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ করার সুবিধা দেয়। এটি ওয়েব বা প্রিন্ট লে-আউট ডিজাইনে সময় বাঁচায়।


1️⃣9️⃣ Lock Slices / Clear Slices

এই কমান্ডগুলো ওয়েব ডিজাইনের সময় ব্যবহৃত হয়।

  • Lock Slices: স্লাইসগুলো লক করে রাখে।

  • Clear Slices: সব স্লাইস মুছে ফেলে।


2️⃣0️⃣ Show Pixel Grid

যখন ছবিতে আপনি অনেক বেশি জুম করেন (যেমন 800% বা তার বেশি), তখন পিক্সেলগুলোর গ্রিড দেখা যায়। এই অপশনটি দিয়ে আপনি সেই গ্রিড অন বা অফ করতে পারেন। এতে ক্ষুদ্র লেভেলে রিটাচ বা পিক্সেল লেভেল কাজ সহজ হয়।


2️⃣1️⃣ 32-bit Preview Options

যদি আপনি 32-bit HDR ইমেজে কাজ করেন, তাহলে এই অপশন থেকে আপনি Exposure এবং Gamma Preview সেট করতে পারবেন, যাতে সঠিক আলো-ছায়া ও উজ্জ্বলতা দেখা যায়।


2️⃣2️⃣ Screen Mode Shortcuts

আপনি দ্রুত কাজ করার জন্য F কী প্রেস করে স্ক্রিন মোড পরিবর্তন করতে পারেন। আবার Tab প্রেস করলে সব প্যানেল হাইড হয়ে যায়, আবার Tab প্রেস করলে ফিরে আসে। এটি প্রেজেন্টেশন বা ফোকাস মোডে কাজ করার সময় দারুণ কার্যকর।


🧩 View Menu এর ব্যবহারিক গুরুত্ব

Photoshop-এর View Menu মূলত আপনার কাজ দেখার ধরণ নির্ধারণ করে। আপনি কেমন করে ক্যানভাস দেখতে চান, কতটা জুম করবেন, গাইডলাইন কেমন হবে — সব কিছুই এই মেনু থেকে কনট্রোল হয়।
বিশেষ করে নিচের ক্ষেত্রগুলোতে এটি অপরিহার্য:

  • প্রিন্ট ডিজাইন (Proof Colors, Gamut Warning)

  • ওয়েব ডিজাইন (Slices, Guides, Grid)

  • ফটো রিটাচিং (Zoom, Pixel Grid)

  • পিক্সেল পারফেক্ট কাজ (Snap, Smart Guides)


🎯 উপসংহার

Photoshop View Menu ব্যবহার করে একজন ডিজাইনার তার ওয়ার্কস্পেসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। এটি শুধু দেখা নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং প্রফেশনাল ডিজাইনের মান বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য একটি অংশ।
আপনি যত বেশি View Menu এর প্রতিটি অপশন বুঝবেন, তত ভালোভাবে আপনার ডিজাইনকে নিখুঁতভাবে প্রিভিউ ও সেটআপ করতে পারবেন।




ফটোশপ টুল বক্স - Photoshop Tools Box in Bangla

 

ফটোশপ টুল বক্স - Photoshop Tools Box in Bangla



🎨 Photoshop Tools Box in Bangla (ফটোশপ টুল বক্সের পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা)

Adobe Photoshop হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রাফিক ডিজাইন ও ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারে যেকোনো ছবি, ডিজাইন, পোস্টার, ব্যানার, বা ডিজিটাল আর্ট তৈরি করা যায়। ফটোশপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো Toolbox বা Tools Panel। এখানেই রয়েছে সব প্রয়োজনীয় টুল, যা দিয়ে আমরা ছবি কাটিং, রঙ পরিবর্তন, ড্রইং, রিটাচ, টেক্সট যোগ, সিলেকশন, এবং অসংখ্য কাজ করতে পারি।

এই অধ্যায়ে আমরা Photoshop Tools Box-এর প্রতিটি টুল বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব — বাংলায় সহজ ভাষায়, যাতে আপনি টুলগুলোর কাজ ভালোভাবে বুঝে নিতে পারেন।


🧰 Photoshop Tools Box কী?

Photoshop Tools Box হলো Photoshop ইন্টারফেসের বাম পাশে থাকা একটি লম্বা প্যানেল, যেখানে ফটো এডিটিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব টুল একসাথে সাজানো থাকে।
এখান থেকে আপনি যেকোনো টুল সিলেক্ট করে আপনার ছবির উপর কাজ করতে পারেন।

Tools Box সাধারণত কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়, যেমনঃ

  1. Selection Tools

  2. Crop & Slice Tools

  3. Retouching Tools

  4. Painting Tools

  5. Drawing & Shape Tools

  6. Type Tools (Text Tools)

  7. Navigation Tools

  8. Color Tools


🖱️ 1. Selection Tools (সিলেকশন টুলস)

🟩 Move Tool (V)

এই টুল দিয়ে কোনো অবজেক্ট, লেয়ার বা সিলেকশনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানো যায়।
👉 আপনি মাউস দিয়ে টেনে টেনে যেকোনো ছবির অংশ Move করতে পারবেন।
এটি ডিজাইনের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত টুলগুলোর একটি।


🟩 Marquee Tools (M)

Marquee টুল দিয়ে নির্দিষ্ট আকারে সিলেকশন তৈরি করা হয়। এটি চার প্রকার:

  1. Rectangular Marquee Tool – বর্গাকার বা আয়তাকার সিলেকশন তৈরি করে।

  2. Elliptical Marquee Tool – বৃত্তাকার সিলেকশন তৈরি করে।

  3. Single Row Marquee Tool – ১ পিক্সেল উচ্চতার সিলেকশন তৈরি করে।

  4. Single Column Marquee Tool – ১ পিক্সেল প্রস্থের সিলেকশন তৈরি করে।

এই টুলগুলো মূলত ছবি কাটিং, কপি বা নির্দিষ্ট অংশ সম্পাদনায় কাজে লাগে।


🟩 Lasso Tools (L)

Lasso টুল দিয়ে হাতে আঁকা (freehand) সিলেকশন করা যায়। এটি তিনটি প্রকার:

  1. Lasso Tool – মাউস ধরে ইচ্ছামতো এলাকা আঁকলে সেটি সিলেকশন হবে।

  2. Polygonal Lasso Tool – সরল রেখার মাধ্যমে পলিগন আকৃতির সিলেকশন তৈরি করে।

  3. Magnetic Lasso Tool – ছবির কনট্রাস্ট অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সীমানা ধরে সিলেকশন করে।


🟩 Quick Selection Tool / Magic Wand Tool (W)

  • Quick Selection Tool – ব্রাশের মতো টেনে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একই রঙ বা টেক্সচারের অংশ সিলেক্ট করে।

  • Magic Wand Tool – নির্দিষ্ট রঙ অনুযায়ী সিলেকশন করে। উদাহরণ: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সরানোর জন্য এটি চমৎকার টুল।


✂️ 2. Crop & Slice Tools (ক্রপ ও স্লাইস টুলস)

🟨 Crop Tool (C)

ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলার জন্য Crop Tool ব্যবহার করা হয়।
👉 আপনি ইমেজের সাইজ, রেশিও ও ফ্রেম ঠিক করতে পারবেন।
ডিজাইন বা ফটোগ্রাফ ঠিক করার সময় এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।


🟨 Perspective Crop Tool

ছবির পার্সপেক্টিভ (ঝোঁকানো বা কোণাকৃত) অংশ ঠিক করে ক্রপ করতে সাহায্য করে। উদাহরণ: ভবনের ছবি সোজা করার সময়।


🟨 Slice Tool / Slice Select Tool

ওয়েব ডিজাইনে ছবিকে একাধিক ভাগে ভাগ করার জন্য এই টুল ব্যবহার করা হয়।
প্রতিটি ভাগকে আলাদা ইমেজ হিসেবে সেভ করা যায়।


🩹 3. Retouching Tools (রিটাচিং টুলস)

🟧 Spot Healing Brush Tool (J)

ছবির দাগ, দোষ, পিম্পল বা স্ক্র্যাচ সহজে সরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

🟧 Healing Brush Tool

Spot Healing এর মতো কিন্তু সোর্স নির্ধারণ করে পিক্সেল কপি করে কাজ করে।

🟧 Patch Tool

ছবির এক অংশ কেটে অন্য অংশে রিপ্লেস করে দাগ মুছে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🟧 Clone Stamp Tool (S)

ছবির একটি অংশ কপি করে অন্য জায়গায় বসানো যায়। এটি ফটো রিপেয়ার ও ব্যাকগ্রাউন্ড এক্সটেনশনে জনপ্রিয়।

🟧 Eraser Tool (E)

যেকোনো লেয়ার বা ছবির অংশ মুছে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয়।

🟧 Blur, Sharpen & Smudge Tools

  • Blur Tool: ছবির অংশ ঝাপসা করে।

  • Sharpen Tool: ছবির অংশ আরও স্পষ্ট করে।

  • Smudge Tool: রঙকে আঙুল দিয়ে ঘষার মতো টানাটানি করে।


🖌️ 4. Painting Tools (পেইন্টিং টুলস)

🟦 Brush Tool (B)

সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত টুল। বিভিন্ন আকার, স্টাইল ও অপাসিটি দিয়ে আঁকা বা রঙ করা যায়।

🟦 Pencil Tool

পাতলা ও কঠিন রেখা আঁকার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🟦 Color Replacement Tool

ছবির নির্দিষ্ট অংশের রঙ পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।

🟦 Mixer Brush Tool

পেইন্টিংয়ের মতো বিভিন্ন রঙ মিশিয়ে ইফেক্ট তৈরি করতে পারে।


🧩 5. Drawing & Shape Tools (ড্রইং ও শেপ টুলস)

🟪 Pen Tool (P)

একটি প্রফেশনাল পাথ ক্রিয়েট টুল। সঠিক কার্ভ, শেপ, সিলেকশন তৈরি করতে ব্যবহার হয়।

🟪 Freeform Pen Tool

হাতে আঁকা রেখা থেকে পাথ তৈরি করে।

🟪 Add/ Delete Anchor Point Tools

পাথের কার্ভ বা আকার পরিবর্তনের জন্য পয়েন্ট যোগ বা বাদ দিতে সাহায্য করে।

🟪 Shape Tools (U)

Photoshop-এ কয়েকটি শেপ টুল রয়েছে:

  • Rectangle Tool

  • Rounded Rectangle Tool

  • Ellipse Tool

  • Polygon Tool

  • Line Tool

  • Custom Shape Tool

এসব টুল দিয়ে যেকোনো গ্রাফিক বা লোগো ডিজাইন করা যায়।


✏️ 6. Type Tools (টেক্সট টুলস)

🟫 Horizontal Type Tool (T)

ছবিতে ইংরেজি বা বাংলা টেক্সট লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🟫 Vertical Type Tool

টেক্সটকে উল্লম্বভাবে লেখার জন্য ব্যবহার হয়।

টেক্সট টুল দিয়ে আপনি ফন্ট, সাইজ, কালার, ওয়ার্প, স্টাইল সব কিছু কাস্টমাইজ করতে পারেন।


🧭 7. Navigation Tools (নেভিগেশন টুলস)

Hand Tool (H)

জুম ইন করা অবস্থায় ছবির ভেতর নড়াচড়া করতে ব্যবহৃত হয়।

Zoom Tool (Z)

ছবি বড় বা ছোট করে দেখতে ব্যবহার হয়।
Alt চেপে রাখলে Zoom Out, শুধু ক্লিক করলে Zoom In হয়।


🎨 8. Color Tools (কালার টুলস)

Photoshop-এর নিচের অংশে ForegroundBackground কালার বক্স থাকে।
এখান থেকেই আপনি রঙ নির্বাচন করেন।
👉 Brush, Fill, Gradient, Shape — সব জায়গায় এই রঙ ব্যবহার হয়।


🌈 9. Gradient, Paint Bucket & Eyedropper Tools

🎯 Gradient Tool (G)

দুই বা ততোধিক রঙের মিশ্রণ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড, পোস্টার, বা টেক্সটে সুন্দর কালার ট্রানজিশন দিতে এটি আদর্শ।

🎯 Paint Bucket Tool

একটি নির্দিষ্ট এলাকায় এক ক্লিকে রঙ ভরার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🎯 Eyedropper Tool (I)

ছবির যেকোনো অংশের রঙ সিলেক্ট করে Foreground Color-এ সেট করে।


⚙️ 10. Extra Tools (অন্যান্য সহায়ক টুলস)

📏 Ruler Tool

দূরত্ব বা কোণ মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়।

🧭 Measure Tool

অবজেক্টের সাইজ নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

💡 Color Sampler Tool

ছবির বিভিন্ন জায়গার রঙের মান নির্ধারণ করে।


🧠 Photoshop Tool Box ব্যবহারের টিপস

  1. টুলের নামের পাশে থাকা Shortcut Key মনে রাখলে কাজের গতি বেড়ে যায়।

  2. কোনো টুলের উপর মাউস রাখলে তার নাম ও কাজ দেখা যায়।

  3. কিছু টুলের নিচে ছোট ত্রিভুজ চিহ্ন থাকে — সেখানে আরও লুকানো টুল থাকে।

  4. Shift + Tool Shortcut চাপলে লুকানো টুলগুলোর মধ্যে ঘুরে ঘুরে সিলেক্ট করা যায়।

  5. টুলের উপরের Options Bar-এ প্রতিটি টুলের আলাদা সেটিংস পাওয়া যায়।


💬 উপসংহার

Photoshop Tools Box হলো Adobe Photoshop-এর হৃদয়।
প্রতিটি টুলের আলাদা ব্যবহার, উদ্দেশ্য ও কাজের ধরন রয়েছে।
আপনি যদি ধীরে ধীরে প্রতিটি টুলের কাজ বুঝে অনুশীলন করেন, তাহলে Photoshop-এর যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যাবে।
সঠিক টুলের সঠিক ব্যবহার জানলেই আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারবেন।




Photoshop Layer Menu in Bangla

 

Photoshop Layer Menu in Bangla

🎨 Adobe Photoshop Layer Menu in Bangla (Full Description 5000 Words)

🔰 ভূমিকা

Adobe Photoshop হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রাফিক্স ও ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এর প্রধান শক্তি হলো Layer System। Layer হলো Photoshop-এর হৃদয়। প্রতিটি ডিজাইন, প্রতিটি ইমেজ এডিটিং কাজ লেয়ার ছাড়া কল্পনা করা যায় না। লেয়ার হলো এমন এক ধরণের “স্বচ্ছ কাগজ” যার ওপর ছবি, লেখা, ইফেক্ট, বা অবজেক্ট বসানো হয়। Layer Menu ব্যবহার করে আমরা লেয়ার তৈরি, ডুপ্লিকেট, মার্জ, লক, গ্রুপ, অ্যাডজাস্টমেন্ট, স্মার্ট অবজেক্ট ইত্যাদি করতে পারি।

চলুন এবার Layer Menu-এর প্রতিটি অপশন বিস্তারিতভাবে বাংলায় জানি।


🧩 Layer Menu-এর অবস্থান ও ব্যবহার

Photoshop-এর উপরের মেনুবারে “Layer” নামে একটি ট্যাব আছে। এখানে ক্লিক করলে একাধিক সাব-মেনু দেখা যায়। প্রতিটি সাব-মেনুর নির্দিষ্ট কাজ আছে। নিচে আমরা ক্রমানুসারে Layer Menu-এর সব অপশন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করবো।


🔹 1. New (নতুন লেয়ার তৈরি করা)

এই অপশন দিয়ে নতুন লেয়ার, গ্রুপ, বা অ্যাডজাস্টমেন্ট লেয়ার তৈরি করা যায়।

  • Layer ➜ New ➜ Layer…
    👉 এই অপশন ব্যবহার করলে একটি নতুন লেয়ার তৈরি হয়। আপনি এর নাম, রঙ, মোড, অপাসিটি ইত্যাদি নির্ধারণ করতে পারেন।
    যেমন: “Background Copy”, “Logo”, “Shadow” ইত্যাদি নাম দেওয়া যায়।

  • New ➜ Layer via Copy (Ctrl + J)
    👉 নির্বাচিত অংশ বা লেয়ার কপি করে নতুন লেয়ার তৈরি করে।

  • New ➜ Layer via Cut (Shift + Ctrl + J)
    👉 নির্বাচিত অংশ কেটে নতুন লেয়ারে স্থানান্তর করে।

  • New ➜ Group (Ctrl + G)
    👉 একাধিক লেয়ারকে গ্রুপ আকারে একত্র করা যায়। ডিজাইনের সময় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • New ➜ Fill Layer (Solid Color, Gradient, Pattern)
    👉 নির্দিষ্ট রঙ, গ্রেডিয়েন্ট বা প্যাটার্নে একটি নতুন ফিল লেয়ার তৈরি হয়।
    উদাহরণ: Solid Color দিয়ে একরঙা ব্যাকগ্রাউন্ড, Gradient দিয়ে কালার ট্রানজিশন তৈরি করা যায়।

  • New ➜ Adjustment Layer
    👉 এটি ব্যবহার করে ইমেজের উজ্জ্বলতা, কনট্রাস্ট, হিউ, স্যাচুরেশন ইত্যাদি ঠিক করা যায় যেমন Brightness/Contrast, Levels, Curves, Hue/Saturation ইত্যাদি।


🔹 2. Duplicate Layer (ডুপ্লিকেট লেয়ার)

👉 নির্বাচিত লেয়ারের কপি তৈরি করা হয়।
Shortcut: Ctrl + J
এই অপশন দিয়ে একই লেয়ার একাধিকবার তৈরি করে আলাদা আলাদা ইফেক্ট প্রয়োগ করা যায়।


🔹 3. Delete (লেয়ার ডিলিট করা)

👉 লেয়ার মুছে ফেলার জন্য ব্যবহার হয়।

  • Delete Layer

  • Delete Hidden Layers (যে লেয়ারগুলো চোখ বন্ধ অবস্থায় আছে সেগুলো একসাথে মুছে ফেলা যায়)


🔹 4. Layer Properties (লেয়ার প্রপার্টিজ)

👉 লেয়ারের নাম, রঙ, এবং অন্য বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
আপনি চাইলে লেয়ারের নাম পরিবর্তন করে কাজের ধরন অনুযায়ী সাজাতে পারেন যেমন “Text”, “Background”, “Icon” ইত্যাদি।


🔹 5. Layer Style (লেয়ার স্টাইল বা ইফেক্ট)

👉 এটি Photoshop-এর অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার।
Layer ➜ Layer Style থেকে নিচের ইফেক্টগুলো ব্যবহার করা যায়:

  • Drop Shadow – অবজেক্টের নিচে ছায়া যোগ করে।

  • Inner Shadow – অবজেক্টের ভিতরের দিকে ছায়া দেয়।

  • Outer Glow – বাইরের দিকে আলোর আভা তৈরি করে।

  • Inner Glow – ভেতরের দিকে আলোর আভা তৈরি করে।

  • Bevel and Emboss – অবজেক্টকে 3D লুক দেয়।

  • Satin – চকচকে ইফেক্ট দেয়।

  • Color Overlay – লেয়ারের ওপর একরঙা লেপ দেয়।

  • Gradient Overlay – লেয়ারের ওপর গ্রেডিয়েন্ট প্রভাব দেয়।

  • Pattern Overlay – প্যাটার্ন টেক্সচার যোগ করে।

  • Stroke – লেয়ারের চারপাশে বর্ডার দেয়।

Layer Style ব্যবহার করে ডিজাইনকে আরও আকর্ষণীয় করা যায়।


🔹 6. Smart Objects (স্মার্ট অবজেক্ট)

👉 স্মার্ট অবজেক্ট হলো এমন এক ধরণের লেয়ার যা ইমেজের গুণগত মান না হারিয়ে স্কেল বা ট্রান্সফর্ম করা যায়।

Convert to Smart Object:
লেয়ারকে স্মার্ট অবজেক্টে রূপান্তর করলে পরে এটি এডিট করলে মূল মান নষ্ট হয় না।

Edit Contents:
স্মার্ট অবজেক্টে ডাবল ক্লিক করলে আলাদা ট্যাবে খুলে এডিট করা যায়।

Rasterize:
স্মার্ট অবজেক্টকে আবার সাধারণ লেয়ারে রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।


🔹 7. New Group from Layers

👉 একাধিক নির্বাচিত লেয়ারকে একত্র করে একটি গ্রুপ বানানো হয়।
Shortcut: Ctrl + G
গ্রুপের মাধ্যমে ডিজাইনকে সুসংগঠিত রাখা যায়, যেমন “Header Group”, “Button Group” ইত্যাদি।


🔹 8. Hide/Show Layers (লেয়ার দেখা বা লুকানো)

👉 লেয়ারের চোখের আইকনে ক্লিক করে লেয়ার লুকানো বা দেখানো যায়।
Layer ➜ Hide Layers ব্যবহার করে একসাথে একাধিক লেয়ার লুকানো সম্ভব।


🔹 9. Arrange (লেয়ার সাজানো)

👉 এই অপশন দিয়ে লেয়ারগুলোর ক্রম ঠিক করা যায়।

  • Bring to Front (Shift + Ctrl + ]) – সবচেয়ে উপরে নেয়।

  • Bring Forward (Ctrl + ]) – এক ধাপ উপরে নেয়।

  • Send Backward (Ctrl + [) – এক ধাপ নিচে নেয়।

  • Send to Back (Shift + Ctrl + [) – সবচেয়ে নিচে পাঠায়।

এটি ডিজাইন লেয়ারের অবস্থান নির্ধারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


🔹 10. Align (অবজেক্ট সোজা করা)

👉 একাধিক লেয়ার নির্বাচন করে তাদের সঠিকভাবে সারিবদ্ধ (Align) করা যায়।
যেমন: Align Left, Center, Right, Top, Middle, Bottom ইত্যাদি।


🔹 11. Distribute (বিভক্তভাবে বসানো)

👉 একাধিক লেয়ার সমান দূরত্বে সাজানো যায়।
যেমন: তিনটি বাটন সমান ব্যবধানে রাখতে Distribute Horizontal Centers ব্যবহার করা হয়।


🔹 12. Lock (লেয়ার লক করা)

👉 লেয়ারকে পরিবর্তন বা স্থানান্তর করা বন্ধ করতে এই অপশন ব্যবহৃত হয়।

  • Lock Transparent Pixels – স্বচ্ছ অংশে পরিবর্তন আটকায়।

  • Lock Image Pixels – ইমেজ অংশ লক করে।

  • Lock Position – লেয়ারের অবস্থান লক করে।

  • Lock All – সম্পূর্ণ লেয়ার লক করে।


🔹 13. Link Layers (লেয়ার লিংক করা)

👉 একাধিক লেয়ার একত্রে লিংক করলে একটিকে নড়ালে অন্যগুলোও নড়ে।
এটি ব্যানার, লোগো বা গ্রুপ এলিমেন্টে খুব উপকারী।


🔹 14. Merge (লেয়ার একত্র করা)

👉 একাধিক লেয়ার একত্রে একটি লেয়ারে পরিণত করা যায়।

  • Merge Layers (Ctrl + E) – নির্বাচিত লেয়ার একত্র করে।

  • Merge Visible (Shift + Ctrl + E) – শুধু দৃশ্যমান লেয়ারগুলো একত্র করে।

  • Flatten Image – সব লেয়ার একত্র করে একটিমাত্র ব্যাকগ্রাউন্ডে রূপান্তরিত করে। (এর পর আর আলাদা লেয়ার থাকে না।)


🔹 15. Matting (প্রান্ত পরিষ্কার করা)

👉 Cutout ইমেজের চারপাশের হালকা প্রান্ত বা হ্যালো ইফেক্ট দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
অপশনগুলো হলো:

  • Defringe

  • Remove Black Matte

  • Remove White Matte

এগুলো মূলত ট্রান্সপারেন্ট ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবির প্রান্ত মসৃণ করতে সাহায্য করে।


🔹 16. Rasterize (র‍্যাস্টারাইজ)

👉 এটি ব্যবহার করে ভেক্টর অবজেক্ট, টেক্সট বা স্মার্ট অবজেক্টকে পিক্সেল ভিত্তিক ইমেজে রূপান্তর করা হয়।
Rasterize করার পর ইমেজে ব্রাশ, ইরেজার ইত্যাদি প্রয়োগ করা যায়।


🔹 17. Type (টেক্সট সম্পর্কিত অপশন)

👉 Layer Menu-তে Type অপশন টেক্সট লেয়ার সম্পর্কিত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  • Convert to Paragraph Text

  • Convert to Point Text

  • Warp Text

  • Anti-aliasing Options

এগুলো দিয়ে টেক্সটের আকৃতি ও স্মুথনেস পরিবর্তন করা যায়।


🔹 18. Video Layers

👉 Photoshop-এ ভিডিও বা অ্যানিমেশন কাজের জন্য এই অপশন ব্যবহৃত হয়।
এখান থেকে ফ্রেম তৈরি, নতুন ভিডিও লেয়ার যোগ, বা ফ্রেম সেটিং পরিবর্তন করা যায়।


🔹 19. Layer Mask (লেয়ার মাস্ক)

👉 মাস্ক ব্যবহার করে লেয়ারের নির্দিষ্ট অংশ লুকানো বা প্রদর্শন করা যায়।
এটি নন-ডেস্ট্রাকটিভ এডিটিং-এর অন্যতম মাধ্যম।
কালো অংশ লুকিয়ে দেয়, সাদা অংশ দৃশ্যমান রাখে।


🔹 20. Vector Mask (ভেক্টর মাস্ক)

👉 এটি Pen Tool বা Shape ব্যবহার করে সুনির্দিষ্টভাবে মাস্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
এটি নিখুঁত কাটআউট বা প্রফেশনাল ডিজাইনে ব্যবহার হয়।


🔹 21. Clipping Mask (ক্লিপিং মাস্ক)

👉 এক লেয়ারের আকার অনুযায়ী অন্য লেয়ারের দৃশ্যমানতা নির্ধারণ করে।
Shortcut: Alt + Click (লেয়ারের মাঝে)
উদাহরণ: একটি টেক্সটের ওপর ইমেজ বসিয়ে শুধু টেক্সটের ভেতরে ইমেজ দেখা যায়।


🔹 22. Layer Comps

👉 এটি ডিজাইনের বিভিন্ন ভার্সন সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন: একই ডিজাইনের “Dark Mode” ও “Light Mode” দুই রকম সেটআপ রাখতে পারেন।


🔹 23. Arrange Layers into Artboards

👉 বড় প্রজেক্টে একাধিক স্ক্রিন ডিজাইনের জন্য আর্টবোর্ডে লেয়ার সাজানো হয়।
UI/UX ডিজাইনে এটি অপরিহার্য।


🔹 24. Export As / Quick Export (লেয়ার এক্সপোর্ট)

👉 নির্দিষ্ট লেয়ার PNG, JPG, SVG বা অন্য ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করা যায়।
এটি ওয়েব ও ডিজিটাল ডিজাইনে বহুল ব্যবহৃত।


🌟 লেয়ার মেনুর গুরুত্ব

Photoshop-এর Layer Menu শুধুমাত্র অপশন নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সিস্টেম যা ডিজাইনারকে আলাদা আলাদা উপাদান নিয়ন্ত্রণ, ইফেক্ট প্রয়োগ ও ক্রিয়েটিভ কাজ করার স্বাধীনতা দেয়।

যেমন:

  • ওয়েব ডিজাইন → প্রতিটি বোতাম, ব্যাকগ্রাউন্ড, টেক্সট আলাদা লেয়ারে।

  • ফটো এডিটিং → রঙ ঠিক করার সময় প্রতিটি Adjustment Layer আলাদা রাখা হয়।

  • পোস্টার ডিজাইন → শিরোনাম, ছবি, শ্যাডো, ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা লেয়ারে থাকে।


🧠 সংক্ষেপে Layer Menu ব্যবহারের উপকারিতা

  1. কাজের সময় প্রতিটি উপাদান আলাদা রাখা যায়।

  2. কোনো অংশে ভুল হলে সহজে পরিবর্তন করা যায়।

  3. একাধিক ডিজাইন ভার্সন তৈরি করা যায়।

  4. ইফেক্ট প্রয়োগে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়।

  5. ডিজাইনের ফাইল পরিষ্কার ও সংগঠিত থাকে।


🎯 উপসংহার

Photoshop-এর Layer Menu হলো ডিজাইনের প্রাণ। এটি আয়ত্তে আনতে পারলে আপনি যেকোনো পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো রিটাচিং বা কম্পোজিশন সহজেই করতে পারবেন। প্রতিটি অপশন মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করলে Layer Menu আপনার কাজকে গতি, নিখুঁততা ও পেশাদারিত্ব এনে দেবে।




Photoshop Image Menu in Bangla

 

Photoshop Image Menu in Bangla

🎨 Photoshop Image Menu in Bangla (ফটোশপ ইমেজ মেনু বাংলায় বিস্তারিত বর্ণনা)

Adobe Photoshop হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটো এডিটিং সফটওয়্যার, যা ব্যবহার করে ছবিকে সম্পাদনা, উন্নত এবং সৃজনশীলভাবে রূপান্তর করা যায়। Photoshop-এর Image Menu হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মেনু যেখানে ছবির আকার, রঙ, মোড, অ্যাডজাস্টমেন্ট, টোন এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল কন্ট্রোলের প্রায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Image Menu মূলত ছবির সম্পূর্ণ গঠন এবং ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে থাকা বিভিন্ন কমান্ড ব্যবহার করে আপনি ছবি রিসাইজ, ক্রপ, কালার ঠিক করা, টোন সমন্বয়, চ্যানেল পরিবর্তন, এমনকি ফটোকে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটও করতে পারেন।


🧭 Image Menu-এর অবস্থান:

Photoshop-এর উপরের মেনুবারে আপনি “Image” নামে একটি মেনু দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে একটি বড় ড্রপডাউন মেনু খুলবে, যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপশন থাকে। নিচে আমরা প্রতিটি অপশন একে একে ব্যাখ্যা করব।


🧩 ১. Mode (মোড):

Mode অপশনটি মূলত নির্ধারণ করে আপনার ছবির রঙ কেমনভাবে প্রদর্শিত হবে। এটি ইমেজের কালার মডেল নিয়ন্ত্রণ করে।
Mode মেনুর ভিতরে বিভিন্ন সাব-অপশন রয়েছে, যেমন:

🔹 RGB Color

এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মোড। এটি Red, Green, এবং Blue তিনটি রঙের মিশ্রণে ছবি তৈরি করে। ওয়েব, স্ক্রিন এবং ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য RGB মোড ব্যবহার করা হয়।

🔹 CMYK Color

এই মোডটি Cyan, Magenta, Yellow এবং Black চারটি রঙ ব্যবহার করে। প্রিন্টিং বা অফসেট প্রেসের জন্য CMYK মোড ব্যবহৃত হয়।

🔹 Grayscale

এখানে ছবিতে কোনো রঙ থাকে না। কেবলমাত্র কালো থেকে সাদা পর্যন্ত বিভিন্ন শেডে ছবি তৈরি হয়। এটি সাধারণত সাদা-কালো ছবি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

🔹 Bitmap

Bitmap মোডে প্রতিটি পিক্সেল হয় কালো নয়তো সাদা। এটি খুব সাধারণ ও হালকা ফাইল তৈরি করে।

🔹 Indexed Color

এখানে ছবিতে সীমিত সংখ্যক রঙ ব্যবহার হয় (সর্বোচ্চ ২৫৬টি)। এটি ওয়েব গ্রাফিকসের জন্য উপযুক্ত।

🔹 Lab Color

এটি একটি উন্নত রঙ মোড, যা মানুষের চোখ যেভাবে রঙ উপলব্ধি করে তার উপর ভিত্তি করে তৈরি। পেশাদার কালার করেকশন কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।


🎛 ২. Adjustments (অ্যাডজাস্টমেন্টস):

এই অপশনটি Photoshop-এর সবচেয়ে শক্তিশালী অংশগুলোর একটি। এখানে থাকা কমান্ডগুলোর মাধ্যমে আপনি ছবির আলো, রঙ, কনট্রাস্ট, ব্রাইটনেস, স্যাচুরেশন ইত্যাদি সমন্বয় করতে পারেন।

প্রধান অপশনগুলো হলো:

🔹 Brightness/Contrast

এটি ছবির উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদি কোনো ছবি খুব অন্ধকার বা অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়, তাহলে এই টুল দিয়ে সেটি ঠিক করা যায়।

🔹 Levels

এই টুলের মাধ্যমে ছবির টোন এবং লাইট ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি Histogram-এর সাহায্যে কাজ করে।

🔹 Curves

Curves টুলটি Levels-এর চেয়েও উন্নত। এটি আপনাকে নির্দিষ্ট অংশে টোন পরিবর্তনের সুযোগ দেয়।

🔹 Exposure

এই কমান্ডটি ছবির এক্সপোজার বা আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ছবির হাইলাইট ও শ্যাডো আরও প্রাকৃতিক করা যায়।

🔹 Vibrance / Hue & Saturation

এই অপশনগুলো রঙের তীব্রতা বাড়ানো বা কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।

🔹 Color Balance

এটি ছবির রঙের ভারসাম্য ঠিক করে। যেমন: ছবিতে যদি নীল রঙ বেশি দেখা যায়, তবে আপনি সেটি কমিয়ে আনতে পারেন।

🔹 Black & White

এই অপশন দিয়ে আপনি যেকোনো রঙিন ছবিকে খুব সহজে সাদা-কালো রূপে রূপান্তর করতে পারেন।

🔹 Photo Filter

এটি ছবির উপর একটি রঙিন ফিল্টার প্রয়োগ করে — যেমন উষ্ণ বা ঠান্ডা টোন তৈরি করা।

🔹 Invert

এই কমান্ড ছবির রঙ উল্টে দেয়। যেমন: সাদা হবে কালো, নীল হবে কমলা ইত্যাদি।

🔹 Threshold

এটি ছবিকে কেবল দুই রঙে (কালো ও সাদা) রূপান্তর করে। আর্টিস্টিক ইফেক্ট তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

🔹 Gradient Map

এটি ছবির আলোক-ছায়ার ভিত্তিতে রঙ প্রয়োগ করে।


🖼 ৩. Image Size (ইমেজ সাইজ):

এই অপশন ব্যবহার করে আপনি ছবির আকার (Width, Height) এবং রেজোলিউশন (Resolution) পরিবর্তন করতে পারেন।
যদি আপনি প্রিন্টিংয়ের জন্য ছবি তৈরি করেন, তবে Resolution 300 ppi রাখা উত্তম। আর ওয়েব বা স্ক্রিনের জন্য 72 ppi যথেষ্ট।

এখানে "Resample" নামের একটি অপশন থাকে, যা ছবির পিক্সেল পরিবর্তন করে। যদি আপনি ছবিকে বড় করতে চান, তাহলে Resample চালু রাখুন।


📐 ৪. Canvas Size (ক্যানভাস সাইজ):

Canvas Size দিয়ে আপনি আপনার ওয়ার্কস্পেস বা ব্যাকগ্রাউন্ডের সাইজ পরিবর্তন করতে পারেন, ছবির আসল কনটেন্ট না বদলিয়ে।
যেমন: আপনি যদি ছবির চারপাশে বাড়তি জায়গা যোগ করতে চান, তাহলে ক্যানভাস সাইজ বাড়ান।


🪞 ৫. Image Rotation (ইমেজ রোটেশন):

এই অপশন দিয়ে ছবিকে ঘোরানো যায়। যেমন:

  • 180° Rotate – ছবিকে উল্টো করে দেয়।

  • 90° Clockwise / Counter Clockwise – ডানে বা বামে ৯০ ডিগ্রি ঘোরায়।

  • Arbitrary – নিজে থেকে নির্দিষ্ট কোণে ঘোরানোর সুযোগ দেয়।

  • Flip Canvas Horizontal / Vertical – ছবিকে আয়নার মতো উল্টিয়ে দেয়।


🎨 ৬. Crop and Trim (ক্রপ ও ট্রিম):

🔹 Crop

এই কমান্ড দিয়ে আপনি ছবির নির্দিষ্ট অংশ রেখে বাকিটা কেটে ফেলতে পারেন।

🔹 Trim

এটি ছবির আশেপাশের খালি জায়গা (transparent বা white area) স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে ফেলে।


🌈 ৭. Reveal All (রিভিল অল):

যদি ছবির কিছু অংশ লুকানো থাকে (যেমন: Move Tool দিয়ে সরানোর পর বাইরে চলে গেছে), “Reveal All” কমান্ড ব্যবহার করলে সবকিছু দৃশ্যমান হয়ে যায়।


🧮 ৮. Duplicate (ডুপ্লিকেট):

এই কমান্ড ব্যবহার করে বর্তমান ছবির একটি কপি তৈরি করা যায়। এটি একই প্রজেক্টে বা নতুন ফাইল হিসেবে সংরক্ষণ করা যায়।


🧰 ৯. Apply Image (অ্যাপ্লাই ইমেজ):

এটি খুব উন্নত একটি অপশন যা একাধিক লেয়ার বা ছবির উপর আলোক, রঙ বা টোনের কম্বিনেশন প্রয়োগ করে। এটি সাধারণত প্রফেশনাল রিটাচিংয়ে ব্যবহৃত হয়।


🔀 ১০. Calculations (ক্যালকুলেশনস):

এই টুলটি দুটি চ্যানেল বা লেয়ারকে একত্রিত করে একটি নতুন আলাদা সিলেকশন তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি অনেক উন্নত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন — ম্যাস্ক তৈরি বা ব্লেন্ডিং ইফেক্ট।


🧾 ১১. Variables (ভেরিয়েবলস):

এই অপশনটি ডিজাইন অটোমেশন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন, একই ডিজাইনের অনেক সংস্করণ তৈরি করা যেখানে কেবল টেক্সট বা ইমেজ পরিবর্তন হবে।


🪄 ১২. Apply Data Sets:

যদি আপনি Variables ফিচার ব্যবহার করেন, তাহলে “Apply Data Sets” দিয়ে সেই ডেটাগুলো ফটোশপে প্রয়োগ করতে পারেন। এটি সাধারণত ব্যাচ ডিজাইন তৈরিতে সহায়ক।


🔧 ১৩. Trap (ট্র্যাপ):

এটি মূলত প্রিন্টিংয়ে ব্যবহৃত হয়, যেখানে রঙের ওভারল্যাপ বা ফাঁক সমস্যা এড়ানোর জন্য রঙের প্রান্ত সামঞ্জস্য করা হয়।


🧠 Image Menu ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  1. ছবি রঙ পরিবর্তনের আগে সবসময় Adjustment Layer ব্যবহার করুন, যাতে মূল ছবি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

  2. প্রিন্টের আগে অবশ্যই CMYK Mode-এ পরিবর্তন করুন।

  3. বড় ছবির কাজ করলে Image Size → Resolution ঠিক রাখুন।

  4. “Curves” এবং “Levels” ব্যবহার করলে ছবির টোন ব্যালান্স অনেক উন্নত করা যায়।

  5. রঙ ঠিক করতে “Color Balance” এবং “Hue/Saturation” সবচেয়ে কার্যকর টুল।


🧾 উপসংহার:

Photoshop-এর Image Menu হলো ছবির ভিজ্যুয়াল নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু। এই মেনুর প্রতিটি টুলই পেশাদার ডিজাইনারদের জন্য অপরিহার্য। সঠিকভাবে এই মেনুর ব্যবহার জানলে আপনি যেকোনো ছবিকে নতুন প্রাণ দিতে পারেন— হোক তা ফটো রিটাচিং, কালার কারেকশন, প্রিন্ট ডিজাইন বা আর্টিস্টিক এডিটিং।